সরকার এমপিওভুক্ত (মাসিক বেতন আদেশভুক্ত) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের গৃহভাড়া ভাতা বৃদ্ধি করেছে।
আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিতু মরিয়ম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অর্থ বিভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের গৃহভাড়া ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের গৃহভাড়া ভাতা তাদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে প্রদান করা হবে, তবে ন্যূনতম ২,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ভাতা নিম্নলিখিত শর্তসাপেক্ষে প্রদান করা হবে।
শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, গৃহভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয় করতে হবে।
নিয়োগের শর্তাবলী অবশ্যই প্রাসঙ্গিক জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী হতে হবে—যেমন “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১”, “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)”, এবং “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কারিগরি, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)” — এবং সরকারের সময় সময় জারি করা অন্যান্য পরিপত্র, আদেশ ও নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে।
এছাড়া প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ভাতার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বকেয়া পাওনা প্রদান করা হবে না।
ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সব আর্থিক বিধি-বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
ভবিষ্যতে এই ভাতা ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট বিল প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী থাকবে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই একটি সরকারী আদেশ (GO) জারি করতে হবে এবং তার চারটি অনুলিপি অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে পোস্ট-অডিট অনুমোদনের জন্য।
এই আদেশ ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।







