স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রংপুর শহরে কিডনি, ক্যান্সার ও হৃদরোগের জন্য বিশেষায়িত ৫৬০ শয্যার একটি পৃথক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।
আজ সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (RpMCH) বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “এই হাসপাতালের বাজেট ইতোমধ্যেই পাস হয়েছে। আমরা যদি বাস্তবায়ন করতে না পারি, তাহলে পরবর্তী সরকার তা করবে, কারণ RpMCH-এ রোগীর সংখ্যা শয্যার সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি, ফলে অনেককে মেঝেতে শুয়ে থাকতে হয়।”
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সিন্ডিকেট একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এগুলো মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইজিপি (EGP) সিস্টেমের মাধ্যমে হাসপাতালের সরঞ্জাম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “বাস্তবায়িত হলে এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম ও সিন্ডিকেট অনেকাংশে কমাতে পারবে,” তিনি যোগ করেন।
নূরজাহান বেগম বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারির সময় অনেক চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত অন্যরা মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, কারণ তাদের অবদান ভোলার নয়।”
তিনি আরও বলেন, “সিন্ডিকেটসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
উপদেষ্টা জানান, হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান পুনরুদ্ধারে স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বল্প সময়ে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বিশেষ বিসিএসের ব্যবস্থা করেছে এবং ইতোমধ্যে ৩,৫০০ নার্স নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও আশ্বাস দেন যে রংপুর শিশু হাসপাতাল দ্রুত চালু হবে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবু জাফর, RpMCH-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আশিকুর রহমান, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈম, সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। দুপুরের পর তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল প্রস্তাবিত হাসপাতাল স্থানের পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।