Edit Content

বিদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সরকারের জোরালো প্রচেষ্টা

PHOTO: Internet
Share the News

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, চলতি বছরের মধ্যেই বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সচিবালয়ে সরকার ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা কাজ করছি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।”

সব অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সরকার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে মোট পরিমাণ অনেক বড় এবং তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও আইনি জটিলতা থাকায় পুরো অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী মাসে এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সক্ষম হবে।

অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি বলেন, “বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ জনগণের সম্পদ, এটি দ্রুত ফেরত আনতে হবে।”

প্রক্রিয়াটিকে তদারকি করতে প্রতি মাসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। এছাড়া, ঈদুল ফিতরের পর ফেরত আনার অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য আরেকটি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।

সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং যেকোনো মূল্যে এটি নিশ্চিত করা হবে।

4o