বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লন্ডন যাত্রার আগে বেগম জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঐক্য ও গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানান। মির্জা ফখরুল তার বার্তা তুলে ধরে বলেন, “একসঙ্গে কাজ করুন, জনগণের জন্য কাজ করুন, গণতন্ত্রের জন্য কাজ করুন।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আল্লাহর রহমতে, আমাদের নেত্রী, যিনি সবসময় গণতান্ত্রিক নীতিতে ও জাতীয় সার্বভৌমত্বে আপসহীন ছিলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা এবং নিরাপদে ফিরে আসার জন্য দোয়া করি, যাতে তিনি আমাদের গণতন্ত্রের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে পারেন।”
তার ফিরে আসা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “এটি তার চিকিৎসার উপর নির্ভর করবে। আমরা আশাবাদী, চিকিৎসা শেষে তিনি দ্রুত দেশে ফিরবেন।”
লন্ডন যাত্রার প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয় শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। তিনি লন্ডনে তার পুত্র তারেক রহমানের বাসায় কিছুদিন অবস্থান করবেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে অবস্থিত জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে উন্নত লিভার চিকিৎসার জন্য যাবেন।
জন হপকিনসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল, যার নেতৃত্বে থাকবেন তিনজন বিশেষজ্ঞ, তার লিভার প্রতিস্থাপনের দায়িত্বে থাকবেন। এর আগে, ২৬ অক্টোবর এ চিকিৎসক দল ঢাকায় এসে তার লিভার সমস্যার জটিলতা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টিপস (ট্রান্সজুগুলার ইনট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
এদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজেএম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ, বীর বিক্রম, এদিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।