বাংলাদেশের ডেঙ্গু সংকট আরও গভীর হচ্ছে, কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন রোগী মারা গেছেন এবং ৯৬৬ জন নতুন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সর্বশেষ এই মৃত্যুদের মধ্যে ঢাকায় চারজন, বরিশালে তিনজন এবং ময়মনসিংহ, খুলনা ও ঢাকার অন্যান্য বিভাগে একজন করে মৃত্যু হয়েছে। এই নতুন তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ১,৭০৫ জনে পৌঁছেছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বার্ষিক সংখ্যা, আগের রেকর্ড ২০২২ সালের ২৮১ এবং ২০১৯ সালের ১৭৯ জনের মৃত্যুকে ছাড়িয়ে গেছে। শুধুমাত্র এই বছরেই ৩১০ জন মারা গেছেন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৩,১৬৫-এ দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪,১২৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ইতোমধ্যে ৫৮,৭২৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। অক্টোবরে সর্বাধিক ৩০,৮৭৯ জন রোগী শনাক্ত হয়, সেপ্টেম্বরের ১৮,০৯৭ জন এবং আগস্টের ৬,৫২১ জনের তুলনায় এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। নভেম্বরের শুরুতে মাত্র দুই দিনে ১,৩৪৮টি নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে বর্ষাকালে সাধারণত ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও, এই বছর উষ্ণ এবং স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, দ্রুত নগরায়ণ এবং মশার প্রজননের হার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই ভাইরাসের বিস্তার তীব্রতর হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফগিং কার্যক্রম, জনসচেতনতা প্রচারণা এবং জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধি করেছে, যদিও উচ্চ মাত্রার রোগীর চাপ দেশের চিকিৎসা সুবিধাগুলিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।
4o