পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা-যশোর রুটের ট্রেন সেবা ২০২৪ সালের মধ্য নভেম্বরে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
“আমরা আশা করছি, নভেম্বরের মাঝামাঝি (১৫-২০ নভেম্বর) থেকে ঢাকা-যশোর রুটে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করতে পারবো,” পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজ বিএসএসকে এ কথা জানান।
তিনি জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে কমলাপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে, একই দিনে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, নবনির্মিত ব্রড-গেজ একক লাইনটি রূপদিয়া ও সিঙ্গিয়া স্টেশনগুলোর মাধ্যমে বিদ্যমান খুলনা-গামী রেল লাইনের সাথে যুক্ত হয়েছে।
তিনি যোগ করেন যে, সরকার কমলাপুর থেকে রূপদিয়া ও সিঙ্গিয়া স্টেশন পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে, যার জন্য ব্যয় হয়েছে ৩৭,১৫৫ কোটি টাকা।
প্রকল্প অনুযায়ী, বাংলাদেশের রেলওয়ে ইনস্পেক্টর (জিআইবিআর) ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত লাইনের দুই দিনব্যাপী পরিদর্শন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর এই উন্নয়ন এসেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১৭২ কিলোমিটার ব্রড-গেজ একক লাইন নির্মাণ করেছে, যা ব্যয়ের দিক থেকে বিআরের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি চীন থেকে ঋণ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর মাসে ঢাকা-ভাঙ্গা সেকশনটি চালু হয়েছিল এবং বর্তমানে এই সেকশনে পাঁচটি ট্রেন পরিচালিত হচ্ছে।
এই রেলপথ চালু হলে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার কমে আসবে, যার ফলে ভ্রমণের সময় অর্ধেকে নেমে আসবে। বর্তমানে যশোর পৌঁছাতে আট ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
এই রেলপথটি দেশের দুটি বড় সমুদ্রবন্দর – চট্টগ্রাম ও মংলাকে সরাসরি যুক্ত করবে।