গত দুই দিনে সীমান্তবর্তী উঁচু অঞ্চল থেকে আসা পানির প্রবাহ ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রায় ১০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, যেখানে শত শত পরিবার আটকা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২২৫ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর প্লাবিত হয়েছে এবং সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ডাব্লিউডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান জানিয়েছেন, ভোগাই নদী নাকুগাঁও পয়েন্টে বিপদসীমার ১৭২ সেন্টিমিটার এবং নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি এবং বেশ কয়েকটি সড়ক জলমগ্ন হয়েছে।
এছাড়া চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৫২৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে এবং সোমেশ্বরী নদীর পানি উজান থেকে প্রবাহিত পাহাড়ি পানির কারণে বাড়ছে।
প্রকৌশলী আরও জানান, যদি আবহাওয়া শীঘ্রই উন্নতি করে, তবে বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে।