তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ।
পারভেজ হোসেন ইমন ছিলেন ম্যাচের নায়ক। তিনি ৩৯ বল খেলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও পাঁচটি ছয়। ইমনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ মাত্র ১৫.৩ ওভারে ১১১ রানের লক্ষ্য পূরণ করে।
এর আগে, বাংলাদেশি বোলাররা অসাধারণ বোলিং করে পাকিস্তানকে ১১০ রানে অলআউট করে দেয় (১৯.৩ ওভারে)। তাসকিন আহমেদ নেন ৩ উইকেট ২২ রানে, আর মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ – ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
পাকিস্তানের ব্যাটিং ছিল খুবই দুর্বল। কেবল ফখর জামান কিছুটা লড়াই করেন, তিনি ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। বাকিদের মধ্যে পাঁচজন ব্যাটারই এক অঙ্কের রানে আউট হন। শেষে আব্বাস আফ্রিদি (২২) ও খুশদিল শাহ (১৭) কিছু রান করে দলকে ১০০ পার করান।
বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো ছিল না। তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস – দুজনই মাত্র ১ রান করে আউট হন। তরুণ ডেবিউ করা সালমান মির্জা দুটো উইকেটই নেন, ফলে বাংলাদেশ পড়ে যায় ৭ রানে ২ উইকেট।
কিন্তু এরপর ইমন ও তৌহিদ হৃদয় (৩৬ রান) ধীরে সুস্থে খেলেন এবং ৭৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের রাশ বাংলাদেশের হাতে নিয়ে আসেন। পাকিস্তান ম্যাচে ফিরতে পারত যদি আবরার হৃদয়ের সহজ ক্যাচ না ফেলতেন বা মোহাম্মদ হারিস রানআউটের সুযোগ মিস না করতেন।
আব্বাস আফ্রিদি শেষ পর্যন্ত হৃদয়কে আউট করলেও তখন জয়ের জন্য আর মাত্র ৩১ রান বাকি ছিল। ইমন একটি বড় ছক্কা মেরে তার হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং পরে জাকের আলী (১৫ রান অপরাজিত) একটি চারে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেন।
এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এটিও দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আগামী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে পাকিস্তান।