সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত ১২৫টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা গেছে, এসব হিসাবের মধ্যে হাসান মাহমুদের মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের নামে চারটি এবং এনএনকে ফাউন্ডেশনের নামে ১২১টি হিসাব রয়েছে, যা সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদক তার আবেদনে অভিযোগ করেছে যে, ড. হাসান মাহমুদ মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তিনি নয়টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা অনুমোদনবিহীন লেনদেনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
দুদক আরও জানায়, এসব ১২৫টি ব্যাংক হিসাবে “অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক” আর্থিক লেনদেন লক্ষ্য করা গেছে এবং এতে হাসান মাহমুদের পরিবারের সদস্য, তার মেয়ে ও দুই ভাইয়ের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রাপ্ত সম্পদ তাঁর ঘোষিত আয়ের উৎসের তুলনায় অনেক বেশি বলে কমিশন উল্লেখ করেছে।