Edit Content

ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া | বাসস

PHOTO: BSS
Share the News

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কিছু গণমাধ্যম, বিশেষ করে দ্য ইকোনমিক টাইমস এবং ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত ভিত্তিহীন ও অসত্য প্রতিবেদনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা এবং চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

“এই প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার অংশ, যা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য চালানো হচ্ছে,” বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, “আমরা দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছি যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সেনাপ্রধানের দক্ষ নেতৃত্বে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড সুদৃঢ় এবং সব স্তরের সদস্য, বিশেষ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবিধান, চেইন অব কমান্ড এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবিচল আনুগত্য বজায় রেখেছেন।”

বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয় যে, সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভাজন বা অসন্তোষের যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও বিদ্বেষমূলক।

“বিশেষভাবে উদ্বেগজনক যে দ্য ইকোনমিক টাইমস বারবার এ ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে। এই একই গণমাধ্যম ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখেও অনুরূপ ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যা সর্বশেষ এই অপপ্রচারের অংশ,” বলা হয় আইএসপিআরের বিবৃতিতে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, “এই ধারাবাহিক মিথ্যা তথ্য প্রচার ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।”

আইএসপিআর আরও জানায়, “এছাড়াও, কিছু অনলাইন পোর্টাল এবং কিছু নিম্নমানের ও অবিশ্বাস্য টেলিভিশন চ্যানেল এই মিথ্যা প্রচারণাকে আরও বিস্তৃত করেছে। তারা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করার পরিবর্তে বিভ্রান্তি ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গণমাধ্যম, বিশেষ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় যে, তারা যেন দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চা করে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো বিভ্রান্তিকর বা সেনসেশনাল খবর প্রকাশ না করে।

“প্রত্যাশা করা হয় যে, তারা প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মতামত ও ব্যাখ্যা গ্রহণ করবে। আইএসপিআর সবসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঠিক ও অফিসিয়াল তথ্য সরবরাহের জন্য প্রস্তুত,” বলা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় অবিচল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা সকল গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই এবং অনর্থক উত্তেজনা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এমন ভুয়া সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই।”