বিরোধীদের ক্ষমতা গ্রহণের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ
ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে, যেখানে প্রধান তিনটি বিমানবন্দর—উত্তরের কামিশলি, মধ্য সিরিয়ার হোমস এবং দামেস্কের মেজেহ বিমানবন্দর—সহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু ছিল। এই অভিযানকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর ইতিহাসে “সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর এই হামলা শুরু হয় এবং দামেস্কে বিরোধী নেতৃত্বাধীন সালভেশন গভর্নমেন্ট ক্ষমতা গ্রহণ করে। হামলায় ডজনখানেক যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, গোলাবারুদের ডিপো এবং রাসায়নিক অস্ত্রের কারখানা ধ্বংস হয়েছে বলে জানানো হয়েছে, যাতে এগুলো বিরোধীদের হাতে না পড়ে।
দামেস্কে বিরোধীদের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ
নতুন সালভেশন গভর্নমেন্ট দামেস্কে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে, যা আসাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যেই সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও মানবিক সংকটে পড়েছে। বিখ্যাত সিরিয়ান অধিকারকর্মী মাজেন আল-হামাদার মৃতদেহ সেডনায়া কারাগারে পাওয়া গেছে, যা বন্দিদের নির্যাতন এবং নিখোঁজ হওয়ার জন্য কুখ্যাত। উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ বন্দিদের সন্ধান শেষ করেছে, যা ন্যায়বিচার এবং দায়বদ্ধতার দাবি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ইসরায়েলের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক নিন্দা
কাতার, ইরাক এবং সৌদি আরব ইসরায়েলের বিমান হামলা এবং সিরিয়ার গোলান হাইটসের ওপর তার ভূমি দাবি করার প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীও ইসরায়েলকে ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। এদিকে, ইসরায়েল তার কর্মকাণ্ডের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে যে তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং বিরোধীদের হাতে সামরিক সম্পদ না পড়ার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয় ছিল।
এই ঘটনাপ্রবাহ সিরিয়ার সংঘাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করে, যা আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।