বাজারের উচ্চমূল্যের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জেলায় ন্যায্যমূল্যে সবজি ও প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাজার সিন্ডিকেটের প্রভাব কমানো এবং মানুষের অর্থনৈতিক চাপ লাঘবের চেষ্টা করছে তারা।
আন্দোলনের প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে সিন্ডিকেটের একচেটিয়া প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্ররা সবজি বিক্রি অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান। আন্দোলনের সদস্যরা ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে সমন্বয় করে বাজার পরিস্থিতি মনিটর করছেন।
শিক্ষার্থীরা বাজার মূল্যের চেয়ে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কম মূল্যে সবজি বিক্রি করছে এবং প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিক্রি চালু রয়েছে। ক্রেতারা কম দামে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম জানান, পেঁয়াজ ও আলু ছাড়া অন্যান্য বেশিরভাগ পণ্যের দাম বর্তমানে নিম্নমুখী। তবে, অসময় এবং ১৩টি জেলায় বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির সরবরাহ হ্রাস পেয়ে বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারও মানুষের অর্থনৈতিক কষ্ট কমাতে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পেঁপে, করলা, কচুর মুখী, লাউসহ বিভিন্ন পণ্য শহরের বাজারগুলোতে ভর্তুকিমূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা লাউ প্রতি পিস ২৫ টাকা, শসা কেজি ২৮ টাকা, পেঁয়াজ কেজি ১০০ টাকা, রসুন কেজি ২১০ টাকা, কাঁচা পেঁপে কেজি ২৫ টাকা এবং বেগুন কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি করছে। অন্যদিকে, শহরের বাজারগুলোতে আলু প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০-১৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এই ছাত্র-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর খরচ কমিয়ে জনগণের জন্য একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
4o