বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আজ জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে এবং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত চলমান চুক্তি বাতিল করেছে। বিসিবির এক জরুরি জুম মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
আইসিসি মিটিংয়ে অংশ নিতে বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থানরত বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ঢাকার বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে যোগ দিয়ে হাথুরুসিংহের বরখাস্তের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। এর আগে, হাথুরুসিংহেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে একটি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
বরখাস্তের ঘোষণা দিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, “আমরা হাথুরুসিংহেকে শোকজ নোটিশ দিয়েছি এবং তাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছি। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য এবং আগামী বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য একজন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
বিসিবি ফিল সিমন্সকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এবং তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন।
আজকের জুম মিটিংয়ে হাথুরুসিংহের সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয় এবং বিসিবি আইনি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
এটি হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় মেয়াদের সমাপ্তি, যা দুই বছরের চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসে, যার মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো এবং ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলা অন্যতম।
তবে তার দ্বিতীয় মেয়াদে মিশ্র ফলাফল দেখা যায়। বাংলাদেশের অধীনে হাথুরুসিংহের দল ৩৫টি ওডিআই ম্যাচের মধ্যে ১৩টি জিতেছে, ৩৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ১৯টি জিতেছে এবং টেস্টে ৫টি জয় ও ৫টি হার পেয়েছে। কাকতালীয়ভাবে, তার বরখাস্তের সিদ্ধান্ত আবারও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগেই আসে—একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলার সময়ই তিনি তার প্রথম মেয়াদে পদত্যাগ করেছিলেন।