এটা স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র আগেই এই হামলার পূর্বাভাস পেয়েছিল, কারণ তারা জানিয়েছিল যে হামলা আসন্ন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি স্যাটেলাইট ছবি বা ড্রোন থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হয়েছিল।
এটি ইসরায়েল থেকেও আসতে পারে, কারণ জানা গেছে ইরান তার আরব প্রতিবেশীদের এই হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। ইসরায়েল সেটা জানতে পেরে ইরানকে বলেছিল, এই হামলার আকার বড় বা ছোট যাই হোক, তারা এর প্রতিক্রিয়া জানাবে। তাই হতে পারে ইসরায়েলি পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে এই তথ্য দিয়েছিল।
এখন বড় প্রশ্ন হলো, এরপর কী হবে? প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান এর মূল্য চুকাবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও বলেছেন যে তিনি “কঠোর শাস্তি” দেবেন। এসব মন্তব্য অনেকটা যুদ্ধের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।
তবে মনে রাখতে হবে, আমরা এর আগেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। এপ্রিলে, যখন ইরান ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তখনও প্রেসিডেন্ট বাইডেন একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি সেখান থেকে পিছু হটেছিলেন, কারণ জো বাইডেন চান না এই পরিস্থিতি বড় ধরনের যুদ্ধে পরিণত হোক।
বাস্তবতা হলো, ইসরায়েল যেদিকে যাবে, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত তাদের সঙ্গেই থাকবে, কারণ তারা ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দেয়ার কথা বলেছে। বাইডেন এই সংঘাতকে সম্পূর্ণ যুদ্ধে পরিণত হতে দিতে চান না, কিন্তু যদি নেতানিয়াহু সেই পথে যান, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এতে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।